শুক্রবার, অক্টোবর ১১, ২০২৪

পুঁই শাক: উপকারিতা, চাষের মৌসুম এবং অন্যান্য তথ্য




পুঁই শাক, যা লতি শাক নামেও পরিচিত, বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় শাক। এটি শুধু স্বাদে নয়, বরং পুষ্টিগুণেও ভরপুর। চলুন, পুঁই শাকের বিভিন্ন উপকারিতা, চাষের মৌসুম এবং অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।

উপকারিতা

১. ভিটামিন  খনিজ: পুঁই শাক ভিটামিন এ, সি, কে, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়ামের একটি সমৃদ্ধ উৎস। এটি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। ২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: পুঁই শাকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানগুলি শরীরের ফ্রি র‍্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে, যা ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং অন্যান্য ক্রনিক অসুখের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। ৩. হজমে সহায়ক: পুঁই শাকের ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। ৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ৫. ত্বকের যত্ন: পুঁই শাকের ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ত্বককে সজীব রাখতে সাহায্য করে।

চাষের মৌসুম

পুঁই শাক সাধারণত গ্রীষ্মকালে চাষ করা হয়, অর্থাৎ মার্চ থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে। তবে, এটি সারা বছর চাষ করা সম্ভব হলেও গ্রীষ্মকাল এবং বর্ষাকাল সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।

চাষের পদ্ধতি

১. মাটি প্রস্তুতি: পুঁই শাক চাষের জন্য দোঁআশ  বেলে দোঁআশ মাটি উপযুক্ত। মাটির pH মান ৬-৭ হলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। ২. বীজ বপন: পুঁই শাকের বীজ বা কান্ড কাটিং এর মাধ্যমে বপন করা যায়। বপনের আগে মাটির কাদার অবস্থা ভালো করে প্রস্তুত করতে হবে।

৩. সেচ: পুঁই শাকের জন্য নিয়মিত সেচ প্রয়োজন, তবে জলাবদ্ধতা এড়াতে হবে। ৪. নির্বাচন  সার ব্যবহার: প্রয়োজন অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে এবং নিয়মিত পরিচর্যা করতে হবে। ৫. রোগ  পোকামাকড় প্রতিরোধ: পুঁই শাকের জন্য সাধারণত বিটল, অ্যাফিড, ইত্যাদি পোকামাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। এসব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।

উপসংহার

পুঁই শাক একটি পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজি, যা গ্রীষ্মকাল এবং বর্ষাকালে চাষ করা যায় এবং এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারি। নিয়মিত পুঁই শাক খেলে শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয় এবং বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধ করা সম্ভব।



শেয়ার করুন

Author:

Publisher and dashboard panel controller, NB Article | বাংলা

0 coment rios: