গল্প: সাইকো বস
লেখক: অদ্রিতা শ্রেয়া
পর্ব: ০৩
ফ্লোরে পড়ে গিয়ে এতো জোরে চিৎকার দেয় ভয়ে সবার মুখের হাসি উড়ে যায়,
!
জিহাদ: এখানে কলার খোসা কে ফেলছে,,(চিৎকার দিয়ে)
!
সাদমান:: স্যার আমরা কিভাবে বলবো??আমরা কি আপনার সাথে নাকি,, আমরা তো কাজ করছিলাম,,
!
(ঝিনুকের দিকে চোখ পড়তেই দেখি হাসতেছে, তার মানে ওই এমন কাজ করেছে,আজকে ওর খবরই আছে)
!
জিহাদ: ঝিনুক,ঝিনুকককককক,
!
ঝিনুক:হ্যা হ্যা স্যার কি,হয়েছে,,আমায় ডাকছেন,
!
জিহাদ: হ্যা তোমাকেই ডাকছি,
!
ঝিনুক: কেনো?
!
জিহাদ: তোমাকে পূজা করার জন্য,
!
ঝিনুক: (শয়তান,বাদর ফাযিল,বদমাইশ ইতর কতগুলো মানুষের সামনে।অপমান করছে,এরপর দেখ কি করি তোকে)কি বলেন স্যার,,
!
জিহাদ::কলার খোসাটা তুমি ফেলেছো নাহ??
!
ঝিনুক: আমি?? আমি তো কাজ করছিলাম আর আমার এতো ঠেকাই পড়ছে,আপনার কেবিনের দরজার সামনে খোসা ফেলতে যাবো,,
!
(সাদমান এসে স্যারকে উঠায়,আর স্যার আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে মনে হয় সামনে পেলে থাপ্পর একটা লাগিয়ে দিবে)
!
জিহাদ:: আহহ কোমড়ে এতো ব্যাথা কেনো,,
!
ঝিনুক:: স্যার মেবি ক্যালসিয়ামের অভাব হয়েছে, তাছাড়া স্যার দূর থেকে আপনাকে দেখলে মনে হয় আপনার কোমড় বাকা,,
!
জিহাদ: শাট আপ,,অনেক বাড় বেড়েছো তাই না, যদি তুমি এই কাজ করে থাকো, কি যে করবো তোমাকে,,
!
ঝিনুক::(ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে গেছে) স্যা..র স্যার..আ..মি কে.
ন ক..র..বো?
!
জিহাদ: সাদমান আমার ল্যাপটপ টা অন করে আমার রুমে নিয়ে আসেন,,
!
ঝিনুক:(আস্তে আস্তে তিশাকে ডাক দিলাম) ওই চল ক্যান্টিনে যাই,খেয়ে,
!
তিশা:: তোর কি ভয় করে নারে,, স্যার যেভাবে খেপসে,
!
ঝিনুক: ধ্যাত বাদ দে, চল
(বলে ওকে টানতে টানতে নিয়ে ক্যান্টিনে গেলাম)
!
((ক্যান্টিনে বসে আছি, আমাদের সামনে বসছে দুজন কাপল দুইটা দুসাইডে,,হঠাৎ খেয়াল করলাম একটা শুধু বার বার আমার দিকে তাকাচ্ছে ব্যাপার টা কি,দাড়াও তোমারে সাইজ করছি)
!
তিশা:: তুই কি আর মানুষ হবি না, হ্যা ভয়ে আমার হাত পা কাপতেছিলো আর তুই এই কাজটা কেমনে করলি,,
!
ঝিনুক:: সবার দ্বারা সব কাজ হয় না, ঔ রকম তর দ্বারাও হবে না,
!
তিশা: তোর মতো শয়তানি বুদ্ধি নিয়ে আমি ঘুরি না ওকে,
!
ঝিনুক:: তুই তো ভালো মানুষ,কিছুই বুঝোস না,
!
(দেখি আমার সামনের কাপলটা সিট এক্সচেন্জ করছে ছেলেটা আমার পিছনের,এমন ভাবে বসা যে আমি কিছু করলে দোষটা তিশার উপর পরবে,,নাহ তিশারও অনেক ডং বাড়ছে একেও ডোজ দেওয়ার দরকার আছে)
!
((আমি হালকা করে পিছন থেকে কয়েকটা চুল ধরে টান দিলাম, আর লোকটা উরাধুরা মাথা চুলকাচ্ছে,আর পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে তিশাকে, কিছু বলে নি,পরেরবার আবারও চুল ধরে টান দেওয়ায় এবার চেয়ার থেকে উঠে তিশার সামনে এসে দাড়ায়,তিশা বসে বসে খাচ্ছিলো)
!
ছেলেটি >>> এই যে হেলো সমস্যা কি আপনার?বার বার চুল টানছেন কেনো,,
!
তুশা:: হোয়াট ননসেন্স!! আমি আপনার চুল টান দিছি কখন?
!
ঝিনুক:: এই যে ভাইয়া আমরা আপনার চুল কেন টান দিবো আপনার চুল কি বেয়ে ছেয়ে পড়ছে যে চুল ধরে দেখবো??
!
ছেলে>>> আপনারা দুজনের একজনই করছেন,,এখন উল্টো আমাকে বলছেন,
!
ঝিনুক': আমদের ঠেকা পড়ছে নাহ,,
!
তিশা:: শুনুন ভাইয়া আমি খাচ্ছিলাম, আর আমার ফ্রেন্ড বসে ছিলো তাহলে সময়টা কোথায় আপনার চুল টান দেওয়ার,যাই হোক সরি ভাইয়া,হয়তো ভুল হয়েছে,,
!
ঝিনুক: তুই সরি বললি কেন? উনি আমাদের সরি বলবে,এই কেশবতী ভাইয়া আমাদের সরি বলেন,
!
ছেলে>> হোয়াট!!! কেশবতী কে?? আর আমার জেন্ডারও চেন্জ!!
!
তিশা: ভাইয়া,ওর কথায় কিছু মনে করবেন না আসলে ওর একটু সমস্যা আছে,,
!
ছেলে>> ওহ, সেটা তো আগে বলবেন
!
ঝিনুক:: কি বললি তুই আমার মাথায় সমস্যা,আর ওই ব্যাটা তুই এখান থেকে যাবি নাকি থাপ্পর খাবি,
!
ছেলে>> আরে আমাকে মারবেন কেনো? আমি কি করেছি??
!
তিশা: (বুঝছি এই পাগলটা এদিক থাকলে মান সম্মান আর বাসায় নিয়ে যাওয়া লাগবে না,ওকে টেনেই নিয়ে আসলাম)
!
ঝিনুক:: কিরে এভাবে টেনে নিয়ে আসলি কেনো?
!
তিশা:: তোহ কি করবো,, তুই তো চুল টান দিছিস উল্টো আমার নাম দিছোস??
!
ঝিনুক: ভালো করছি,, কয়টা বাজে দেখতো?
!
তিশা:: ২.৩০,,
!
ঝিনুক:: ও মাই গড!!! টাইম তো অনেক হয়ে গেছে, আজ শেষ আমি!! আগে বলবি তে, খালি খাইতেই জানোস আরো খা কুত্তি,,
!
(বলে ওকে রেখেই চলে আসলাম)
!
_____
এদিকে জিহাদ ল্যাপটপ ওন করে দেখে, সব কিছু! ঝিনুক তার দরজার সামনে খোসা ফেলছে,রাগে ওর শরীর গজগজ করছে,,সাহস কি করে হলো আমার দরজার সামনে খোসা ফালানোর, একে তো লেট করছে আবার আমাকে ফেলে দিছে কষে কয়েকটা মারবো,,
!
0 coment rios: