রবিবার, ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২৪

Psycho Boss | সাইকো বস | অদিত্রা শ্রেয়া | থ্রিলার গল্প | পর্ব-০৪

গল্প: সাইকো বস
লেখক: অদ্রিতা শ্রেয়া
পর্ব:০৪

অফিসে ডুকেই মনে হলো জিহাদ করিডোরে দাড়িয়ে আছে আর আমি ঢোক গিলছি ভয়ে,,

জিহাদ:: কয়টা বাজে?? কি দরকার ছিলো অফিসে আসার!! এটা কি আপনার পার্সোনাল অফিস পেয়েছেন যখন খুশি তখন আসবেন,,

ঝিনুক: সরি স্যার আর এমন হবে না, সরি ফর লেট,

জিহাদ: ফাইল কমপ্লিট হয়েছে সব??(রাগে দাত চেপে বললাম)

ঝিনুক:: স্যার দেখতে হবে, আমি দেখিনি সব,

জিহাদ: তো সারাদিন করছো টা কি??সব ফাইল নিয়ে আসো,,,

ঝিনুক: আসছি স্যার,,
( আল্লাহ জানে কপালে কি লিখা আছে, আল্লাহ রক্ষা করো, এ্যাাাাাাাাাাাাাাা।ফাইল তো কিছুই কমপ্লিট হয় নি, এখন কি করবো?? বদমাইশ ইতর, ফাযিলটাকে কি বলবো))

ঝিনুক: স্যার আসবো,(আমার তো হাত পা কাপছে)

জিহাদ: আসো,

জিহাদ: ফাইলগুলো দাও সব, চেক করি,,

ঝিনুক:: স্যার আসলে সব কমপ্লিট হয় নি,(ভয়ে ভয়ে বললাম)

জিহাদ: চেয়ার থেকে উঠে দাড়িয়ে (ডেস্কে বারি দিয়ে বললাম) কি করছো টা কি সারাদিন!! হ্যা ফাইযলামি পেয়েছো তুমি??

ঝিনুক: স্যার এরপর থেকে আর ভুল হবে না, সত্যি স্যার বিলিব মি,,

( উনি আমার দিকে আসছে কেনো,কি করতে চায় উনি মনে হয় গলা চেপে ধরবে আল্লাহ,পিছুতে পিছুতে একেবারে দেয়ালের সাথে লেপটে গেছি)

জিহাদ::(ওর চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ,, এতো সাহস কোথায় গেলো??) তুমি মনে করেছিলে তোমার কুকর্ম ধরা পরবে না,খোলার খোসা কেন ফেলেছিলে?

ঝিনুক:: স্যার দ্বিতীয়বার আর এমন হবে না, প্লিজ

(খপ করে আমার হাত ধরে ফেলে,আর এতো জোরে ধরে, না পারছি ছারতে না পারছি কিছু বলতে,,চোখ দিয়ে আমার পানি বের হয়ে যায়,তবুও ছাড়ছে না)

জিহাদ::( অনেক বেড়েছো তুমি, এবার শাস্তি পাও,যেনো মনে থাকে)

ঝিনুক: হাত ছাড়ুন লাগছে,প্লিজ,

জিহাদ:: লাগুক লাগার জন্যেই ধরেছি, আরাম পাবার জন্য নয়,

ঝিনুক:: স্যার প্লিজ,,ব্যাথায় কুকিয়ে যাচ্ছি হাত ছাড়ার নাম নেই, ব্যাথা লাগছে অনেক,,

জিহাদ::(দেখি ঝিনুকের চোখ দিয়ে বেয়ে পানি পড়ছে, আমি খেয়ালই করতে পারিনি,সাথে সাথে ছেড়ে দিলাম,তাকিয়ে দেখি ফর্সা হাত নীল বর্ন হয়ে গেছে))
!
(হাত ছাড়ার সাথে সাথে চলে আসলাম কেবিন থেকে আর এক মিনিটও দাড়াই নি,চোখ মুছতে মুছতে বের হয়ে গেলাম,পিছন থেকে তিশা অনেকবার ডাকছে শুনি নি ওর কথা, একদমই ভাল লাগছে না, রিকশা নিয়ে বাসায় চলে আসলাম)
!
___ আর এদিকে জিহাদ ভাবছে কাজটা তার একদমই ঠিকবহয় নি,একদিনই ও হয় নি জয়েন করেছে তার উপর এমন টর্চার করলো,আসলে রাগ উঠলে তার হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে,কেবিন থেকে বেড়িয়ে))
!
জিহাদ: ঝিনুক কোথায়?
!
তিশা: স্যার ঝিনুকতো কান্না করতে করতে বের হয়ে গেলো,
!
জিহাদ: ওহ,,ওর বাসা কি চিনো?
!
তিশা:: স্যার ওদের নতুন বাসা চিনি না,কেনো স্যার কোনো প্রবলেম,,
!
জিহাদ: না, তেমন কিছু না।
!
_____বাসায় এসে কলিং বেল বাজানোর সাথে সাথে আম্মু গেট খুলে তো অবাক,একে তো কান্না করতে করতে চোখ ফুলে গেছে,গলার স্বর চেন্জ হয়ে গেছে,
!
আম্মু; কিরে কি হয়েছে?? কান্না করিস তুই,,
!
আমি: না মা,প্লিজ প্রশ্ন করো না এখন,বলে ভিতরে ডুকে নিজের রুম গেট লক করে দিলাম,,
!
শাওন: মা, আপুর কি হয়েছে,
!
আম্মু: আমি তো বলতে পারলাম না,,সকালে না, কি হাসি খুশি ছিলো, এখন আবার কি হলো? যাই হোক রাতে শোনা যাবে,
!
_____আর এদিকে নিশান যখন কেন্টিন থেকে বের হতে নিবে, তখনই চোখ পড়ো মোবাইল আর পার্স ব্যাগের দিকে,হাা মনে পড়েছে এটা তো ওই মেয়ের যে ঝগড়া করেছে,,তাড়াতাড়ি মোবাইল টা নিলো যদি পৌছিয়ে দিতে পারে বাড়িও চিনা হলো পরিচয়ও হলো,,মেয়াটা অবশ্য খারাপ না,সুন্দরী বললেও কম হয়ে যাবে,,অসম্ভব সুন্দর,বিশেস করে চোখ গুলো,একবার তাকালে বার বার ডুব দিতে মন চায়,যেই ভাবা সেই কাজ, মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখে লক করাও না, কি বোকা মেয়ে মোবাইল লকও করে না?? মেবাইলে কি পার্সোনাল কিছু থাকতে পারে না?? লক তো করবে নাকি,,যাই হোক,, মোবাইল স্কিনে টাচ করতেই ঝিনুকের মায়াবী মুখটা ভেসে উঠে,, এতো কাছে দেখা হয় নি কিন্তু ফোন স্কিনে চেহারাটা ভাসা ভাসা দেখা যাচ্ছে,চট করে সেয়ারিট চালু করে মোবাইলে থাকা ৫৬০টা ছবি নিয়ে নেয় তার ফোনে, আর *আম্মু* দিয়ে সেভ করা নাম্বারটা কল দেয়,,রিং হতে থাকে,বাজতে বাজতে কেটে যায়, আবারও দেয়,এবার রিসিব হয়,
!
শাওন: আম্মু দেখো আপু কল দিছে,
!
আম্মু: কি যা তা বলিশ,,ঝিনুক না ঘরে কল দিবে কেন?ভালো করে দেখ,
!
শাওন: আরে মা তুমি দেখো না হয়,তুমি তো কোনোদিনও আমায় বিশ্বাস করো না!
!
আম্মু: (মোবাইলের দিকে তাকিয়ে)ঠিকই তো রিসিব কর,,
!
শাওন; আচ্ছা,, হেলো কে?
!
নিশান: আসলে এই ফোন আর পার্সটা কেন্টিনে পেয়েছি তাই ভাবলাম আসল লোকের কাছে ফেরত দেই,,
!
শাওন:আম্মু তুমি কথা বলো তো,, দেখে কি পাগলের মতো কথা বলছে,
!
আম্মু: দে আমাকে, বুঝিস না সুঝিস না কল ধরিস কেনো,,
!
আম্মু:: হেলো কে??
!
নিশান:: আন্টি এই মোবাইল আর ব্যাগ আমি পাই রেস্টুরেন্টে এখন আমি দিতে চাচ্ছিলাম,কিভাব
ে দিবো?
!
আম্মু:: ওহ আচ্ছা, বাবা তুমি আমাদের বাসায় না হয় আসো নয়তো আমার ছোটো ছেলেকে পাঠাচ্ছি জায়গার নাম বলো কোথায় আসতে হবে?
!
নিশান:: না না,আন্টি কষ্ট করতে হবে না আমিই আসছি,জায়গার নাম বলুন,
!
আম্মু:: অমুক ঠিকানায় চলে আসো,
!
নিশান: ওকে আন্টি,,
(বলে কল টা কেটেই নিশান, খুশিতে লাফাতে থাকে তার যেনো আর তর সইছে না,মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি,,পুরো মাথাই হ্যাং হয়ে গেছে, শুধু ঝিনুক আর ঝিনুক!! বলে ঝিনুকের বাসার দিকে রওনা দেয়)
!
___এদিকে আমি অফিস থেকে এসে একে তো টায়ার্ড তার মধ্যে কান্না করায় ঘুম চলে আসে,কখন ঘুমিয়ে যাই আর হুশ থাকে না, হঠাৎ কিছুর শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায় উঠে দেখি সন্ধ্যা ৭ টা বাজে, মুখ হাত ধুয়েই রুম থেকে বের হয়ে যাই,,গিয়ে তো দেখি কেন্টিনের ওই ছেলেটা,
!
নিশান:: ও আল্লাহ এই মেয়ে তো আমায় পাগল করে ছারবে, একটা গেন্জি তার উপর থ্রি কোয়াটার প্যান্ট, ফর্সা পা দুটো দেখা যাচ্ছে, চুল এলো মেলো, আমি তো হা হয়ে গেছি, এতো সুন্দর কিভাবে হয় একটা মানুষ!!
!
আমি:: এই বদমাইশ টা এদিক কি করে, আবার হা করে তাকিয়ে আছে ধারা দেখাচ্ছি মজা
!
( সামনে গিয়ে জুসের গ্লাসে থাকা সব জুস ওর মাথায় ঢেলে দিলাম, ঢালার সাথে সাথে বসা থেকে উঠে দাড়িয়ে যায়))
!
নিশান:: এটা কি হলো??
!
আমি:: কি হলো মানে, হা করে তাকিয়ে ছিলি কেনো?? আর আমার বাসায় আসছিস কেনো চুরি করতে?
!
নিশান:: দেখো তুমি যা ভাবছো এসব কিছুই না,,আমি তো
!
আমি:: বলার আগেই বললাম ফাইযলামির জায়গা পাস না,আমার পিছু পিছু আসছিস না কেনো আসছিস??
!
(বলতেছি হুট করে পিছ থেকে কে যেনো ধাক্কা দেওয়ায় আমি তাল সামলাতে না পেরে নিশানের গায়ে উপর পড়ি আর নিশান সোফায় গিয়ে পড়ে,,ও আধ সোয়া অবস্থায় আর আমি ওর উপরে এক হাতে সোফা ধরে আছি আরেক হাতে নিশানের শার্ট ধরে আছি,পুরো ভরটাই ওর অপর পড়ছে))
!
((এদিকে নিশান, ও এভাবে আমার উপর পড়ায় আমি তো ভেবাচেকা খেয়ে গেছি!! কি হলো!! ইসস কত যে ভালো লাগছে,ওর এলো মেলো চুল গুলো আমার মুখের উপর পড়েছে আরেক হাত দিয়ে শার্ট ধরে আছে, আর চোখের কি টান,আর খেয়াল করলাম ঠোটের উপর থাকা তিলটার, পুরো নজর কেড়ে নেওয়ার মতো,, উফফ আল্লাহ রক্ষা করো!!))
!
শাওন;: কি হলো এভাবে আর কত থাকবে,এবার তো উঠো??
!
আমি:: শাওনের কথা শুনে লাফ দিয়ে উঠি,শাওনের বাচ্চা তুই ফেলে দিছোস না আমায়?? বলে ও কান ধরে টানছি,,আজকে তোকে ঝাড়ু দিয়প পিটাবো
!

শেয়ার করুন

Author:

Publisher and dashboard panel controller, NB Article | বাংলা

0 coment rios: