জুমআর নামাজের ফজিলত:
জুমআর নামাজ ইসলামের একটি
গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, “হে বিশ্বাসীগণ! জুমআর দিনে
যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে তাড়াতাড়ি কর এবং
বেচাকেনা বন্ধ রাখ।” (সূরা জুমআ, আয়াত ৯)।
হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে
ব্যক্তি জুমআর দিন গোসল করে প্রথম মসজিদে হাজির হয়, সে যেন একটি উট কোরবানি করল;
দ্বিতীয় যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে, সে যেন একটি গরু কোরবানি করল…” (বুখারি: ৮৮১)।
জুমআর নামাজ পড়ার নিয়ম:
১. গোসল ও প্রস্তুতি: জুমআর
দিন গোসল করা সুন্নত। পরিষ্কার পোশাক পরিধান করা এবং সুগন্ধি ব্যবহার করা উত্তম।
২. মসজিদে যাওয়া: আজানের সাথে
সাথে মসজিদে উপস্থিত হওয়া উচিত।
৩. নিয়ত: জুমআর নামাজের নিয়ত
করা হয় এইভাবে: “নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতি কাব্লাল
জুমুয়াতি, সুন্নাতি রাসূলিল্লাহি তয়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল্ ক্বাবাতিশ্
শারীফাতি আল্লাহু আক্বার।”
৪. নামাজের রাকাত: জুমআর
নামাজে দুই রাকাত ফরজ রয়েছে। এছাড়া ফরজ নামাজের পূর্বে চার রাকাত কাবলাল জুমা এবং
পরে চার রাকাত বাদাল জুমা (সুন্নত নামাজ) আদায় করতে হয়।
জুমআর নামাজের দোয়া:
জুমআর নামাজের পর কিছু বিশেষ দোয়া পড়া
হয়। যেমন:
- দরুদ শরিফ: “আল্লাহুম্মা
সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আ’লি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা
ইব্রাহিমা ওয়া আলা আ’লি ইব্রাহিমা ইন্নাকা হামিদুম মজিদ।”
- মাগফিরাতের দোয়া:
“রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়া ক্বিনা
আ’জাবান নার।”
জুমআর নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে আরও জানতে, প্রথম আলোর এই নিবন্ধটি পড়তে পারেন ।
0 coment rios: