শায়েখ আহমাদুল্লাহ
জন্ম ও পরিবার
শায়েখ আহমাদুল্লাহ ১৯৮১ সালের ১৫ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলার বশিকপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন এবং মাতার নাম মোসাম্মাত দেলোয়ারা বেগম। তিনি ছয় ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয়।
কিশোর জীবন
শায়েখ আহমাদুল্লাহর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় তাঁর পিতা, মাতা ও চাচার কাছ থেকে। তিনি বশিকপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। এরপর তিনি মাইজদীর নিকটবর্তী হরিনারায়ণপুরের দানাপুর কওমি মাদ্রাসায় নূরানির প্রাথমিক তিন জামাত এবং লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ বোয়ালিয়া কওমি মাদ্রাসায় উর্দু ভাষা শিক্ষালাভ করেন।
শিক্ষাজীবন
শায়েখ আহমাদুল্লাহ হাতিয়ার ফয়জুল উলুম কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি হন এবং মুফতি সাইফুল ইসলামের সান্নিধ্যে পড়াশোনা করেন। এরপর তিনি চট্টগ্রামের দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসায় ভর্তি হন এবং সেখানে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও দাওরায়ে হাদীস সম্পন্ন করেন। যশোরের দড়াটানা কওমি মাদ্রাসায় সানুবিয়াহ পরীক্ষায় (এইচএসসি সমতুল্য) ১০ম স্থান, মিশকাত ক্লাসে ৩য় স্থান এবং দাওরায়ে (মাস্টার্স) ক্লাসে ২য় স্থান অধিকার করেন। সর্বশেষে খুলনা দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসা থেকে ইফতা সম্পন্ন করেন ।
কর্মজীবন
শিক্ষাজীবন শেষ করে শায়েখ আহমাদুল্লাহ ২০০৩ সালে মিরপুরের দারুর রাশাদ মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। পাশাপাশি তিনি মিরপুরের বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদে ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে তিনি সৌদি আরবে যান এবং পশ্চিম দাম্মাম ইসলামিক দাওয়াহ সেন্টারে প্রীচার ও ট্রান্সলেটর হিসেবে কাজ করেন ।
বর্তমান
শায়েখ আহমাদুল্লাহ দেশে ফিরে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন, যা শিক্ষা, সেবা ও দাওয়াহ কার্যক্রম পরিচালনা করে। তিনি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ভূমিপল্লী জামে মসজিদের খতিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, ওয়াজ মাহফিল এবং উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্মে লেকচার দেন ।
ব্যক্তিগত জীবন
শায়েখ আহমাদুল্লাহর তিন পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি তাঁর পরিবার নিয়ে একটি সুখী জীবনযাপন করছেন ।
0 coment rios: