সর্বশেষ

বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৩

আলুর উৎপত্তি ও ইতিহাস এবং চাষের পদ্ধতি - NB Article

আলুর উৎপত্তি ও ইতিহাস এবং চাষের পদ্ধতি - NB Article

 


আলু (Potato) একটি বহুল ব্যবহৃত সবজি যা সোলানেসি (Solanaceae) পরিবারের অন্তর্গত। এটি মাটির নিচে কন্দ হিসেবে জন্মে এবং সারা বিশ্বে খাদ্য হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয়। নিচে আলু সম্পর্কে কিছু বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:

আলুর উৎপত্তি ও ইতিহাস

আলুর উৎপত্তিস্থল দক্ষিণ আমেরিকার আন্দেস পর্বতমালা। প্রায় ৭,০০০-১০,০০০ বছর আগে এটি প্রথম গৃহপালিত হয়েছিল। স্পেনীয়রা ১৬শ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে আলু ইউরোপে প্রবর্তন করে। বর্তমানে এটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম খাদ্যশস্য

আলুর প্রকারভেদ

আলুর বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে, যেমন:

  • রাসেট আলু: ডিম্বাকৃতি এবং বড় আকারের, বাইরের ত্বক বাদামী এবং খসখসে।
  • লাল আলু: গোলাকার এবং ছোট থেকে মধ্যম আকারের, বাইরের আবরণ লাল।
  • সাদা আলু: লম্বা আকৃতির, বাইরের ও ভেতরের অংশ সাদা।
  • হলুদ আলু: গোলাকার, ছোট থেকে মধ্যম আকারের, হালকা হলুদ বা সোনালী রঙের।
  • বেগুনি আলু: গোলাকার, বাইরের ও ভেতরের অংশ বেগুনি রঙের।
  • ফিঙ্গারলিং আলু: লম্বা আকৃতির, বিভিন্ন বর্ণের।
  • ছোট আলু: বিভিন্ন বর্ণের, আকারে ছোট

পুষ্টিগুণ

আলু প্রধানত কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাদ্যের উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়াও এতে স্টার্চ, ভিটামিন সি, বি১, এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম সিদ্ধ আলুতে প্রায় ৭৭ ক্যালোরি, ২ গ্রাম প্রোটিন, ১৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, এবং ২ গ্রাম ফাইবার থাকে

উপকারিতা

  • শক্তির উৎস: আলুতে উচ্চমাত্রায় কার্বোহাইড্রেট থাকে যা শক্তির যোগান দেয়।
  • পুষ্টি সরবরাহ: এতে ভিটামিন সি, বি১, এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে যা শরীরের জন্য উপকারী।
  • সহজ হজম: আলু সহজেই হজম হয় এবং বিভিন্ন রকমের খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা যায়।

ব্যবহার

আলু দিয়ে বিভিন্ন রকমের খাবার তৈরি করা যায়, যেমন ভর্তা, চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, স্যুপ, এবং তরকারি। এছাড়াও আলু বিভিন্ন শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত কাজে ব্যবহার করা হয়, যেমন স্টার্চ ও অ্যালকোহল প্রস্তুতির কাজে

 

 চাষ বা উৎপাদন

আলু চাষে লাভবান হতে হলে কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। নিচে আধুনিক ও লাভজনক আলু চাষের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ উল্লেখ করা হলো:

১. সঠিক জাত নির্বাচন

আলুর বিভিন্ন জাত রয়েছে, যেমন আগাম জাত, মধ্যম জাত, এবং দেরি জাত। আপনার এলাকার জলবায়ু ও মাটির ধরন অনুযায়ী সঠিক জাত নির্বাচন করুন।

২. জমি প্রস্তুতি

  • জমি পরিষ্কার: আগাছা ও অন্যান্য অবাঞ্ছিত উদ্ভিদ পরিষ্কার করুন।
  • মাটি চাষ: মাটি ভালোভাবে চাষ করে ঝুরঝুরে করুন।
  • সার প্রয়োগ: গোবর সার, টিএসপি সার, এবং এমওপি সার প্রয়োগ করুন

৩. চারা রোপণ

  • বীজ আলু নির্বাচন: ভালো মানের বীজ আলু নির্বাচন করুন।
  • রোপণ পদ্ধতি: নির্দিষ্ট দূরত্বে আলু রোপণ করুন যাতে গাছের বৃদ্ধি সঠিকভাবে হয়

৪. সেচ ব্যবস্থাপনা

  • সঠিক সময়ে সেচ: শুষ্ক মৌসুমে সঠিক সময়ে সেচ দিন। বর্ষার সময় অতিরিক্ত পানি জমতে দেবেন না

৫. আগাছা ও পোকামাকড় দমন

  • আগাছা দমন: নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করুন।
  • পোকামাকড় দমন: প্রয়োজনীয় কীটনাশক ব্যবহার করুন।

৬. ফসল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ

  • ফসল সংগ্রহ: আলু পরিপক্ক হলে সংগ্রহ করুন।
  • সংরক্ষণ: আলু ভালোভাবে সংরক্ষণ করুন যাতে দীর্ঘদিন ভালো থাকে।

 


ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কে জানুন

ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কে জানুন


ডাটা এন্ট্রি হলো বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করানোর প্রক্রিয়া। এটি সাধারণত স্প্রেডশীট, ডাটাবেস, বা অন্যান্য সফটওয়্যারে করা হয়। ডাটা এন্ট্রি কাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে:

  • তথ্য সংগ্রহ: বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করা, যেমন কাগজপত্র, ইমেইল, বা অনলাইন ফর্ম।
  • তথ্য প্রবেশ: সংগৃহীত তথ্য নির্দিষ্ট ফরম্যাটে কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করানো।
  • তথ্য যাচাই: প্রবেশ করা তথ্য সঠিক কিনা তা যাচাই করা।
  • তথ্য আপডেট: পুরানো তথ্য আপডেট করা বা নতুন তথ্য যোগ করা।

 

Data Entry সম্পর্কে আরো কিছু তথ্যঃ

১. Data Mining

Data Mining হলো ডেটা থেকে মূল্যবান তথ্য বের করার প্রক্রিয়া। এটি করতে হলে:

  • ডেটা সংগ্রহ: বিভিন্ন উৎস থেকে ডেটা সংগ্রহ করুন।
  • ডেটা প্রিপ্রসেসিং: ডেটা পরিষ্কার ও প্রস্তুত করুন।
  • ডেটা অ্যানালাইসিস: বিভিন্ন অ্যালগরিদম ব্যবহার করে ডেটা বিশ্লেষণ করুন।
  • ফলাফল মূল্যায়ন: বিশ্লেষণের ফলাফল মূল্যায়ন করুন এবং প্রয়োজনে রিপোর্ট তৈরি করুন।

২. Data Scraping

Data Scraping হলো ওয়েবসাইট থেকে ডেটা সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া। এটি করতে হলে:

  • টুলস নির্বাচন: BeautifulSoup, Scrapy, Selenium ইত্যাদি টুলস ব্যবহার করতে পারেন।
  • ওয়েবসাইট বিশ্লেষণ: ওয়েবসাইটের HTML স্ট্রাকচার বিশ্লেষণ করুন।
  • কোডিং: পছন্দের প্রোগ্রামিং ভাষায় স্ক্রিপ্ট লিখুন।
  • ডেটা সংগ্রহ: স্ক্রিপ্ট চালিয়ে ডেটা সংগ্রহ করুন এবং সংরক্ষণ করুন।

৩. Data Collection

Data Collection হলো বিভিন্ন উৎস থেকে ডেটা সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া। এটি করতে হলে:

  • উৎস নির্ধারণ: ডেটা সংগ্রহের উৎস নির্ধারণ করুন।
  • ডেটা সংগ্রহের পদ্ধতি: সার্ভে, ইন্টারভিউ, ওয়েবসাইট ইত্যাদি থেকে ডেটা সংগ্রহ করুন।
  • ডেটা সংরক্ষণ: সংগৃহীত ডেটা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করুন।

৪. Web Research

Web Research হলো ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া। এটি করতে হলে:

  • কীওয়ার্ড নির্ধারণ: সার্চ করার জন্য সঠিক কীওয়ার্ড নির্ধারণ করুন।
  • তথ্য যাচাই: বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য যাচাই করুন।
  • তথ্য সংগ্রহ: প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করুন এবং সংরক্ষণ করুন।

৫. Product Listing

Product Listing হলো ই-কমার্স সাইটে পণ্য তালিকা তৈরি করার প্রক্রিয়া। এটি করতে হলে:

  • পণ্যের তথ্য সংগ্রহ: পণ্যের নাম, বিবরণ, ছবি ইত্যাদি সংগ্রহ করুন।
  • তালিকা তৈরি: ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে পণ্যের তালিকা তৈরি করুন।
  • SEO: পণ্যের তালিকা SEO ফ্রেন্ডলি করুন।

৬. E-Commerce Lead Generation

E-Commerce Lead Generation হলো সম্ভাব্য ক্রেতাদের তথ্য সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া। এটি করতে হলে:

  • ল্যান্ডিং পেজ তৈরি: আকর্ষণীয় ল্যান্ডিং পেজ তৈরি করুন।
  • মার্কেটিং ক্যাম্পেইন: সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল মার্কেটিং ইত্যাদি মাধ্যমে ক্যাম্পেইন চালান।
  • লিড সংগ্রহ: সম্ভাব্য ক্রেতাদের তথ্য সংগ্রহ করুন।

আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে জানাতে পারেন! 😊

 

শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২৭

পোশাক আপনার মনকে নিয়ন্ত্রণ করে - NB Article

পোশাক আপনার মনকে নিয়ন্ত্রণ করে - NB Article



রঙের প্রভাব মানুষের মনের উপর গভীরভাবে প্রভাব ফেলে। বিভিন্ন রঙ বিভিন্ন ধরণের অনুভূতি এবং প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। আসুন কিছু প্রধান রঙের প্রভাব সম্পর্কে জানি:

সাদা

ইতিবাচক প্রভাব: শুদ্ধতা, শান্তি, সরলতা, এবং স্বচ্ছতা।
নেতিবাচক প্রভাব: শূন্যতা এবং উদাসীনতা।

কালো

ইতিবাচক প্রভাব: কর্তৃত্ব, শক্তি, এবং রহস্য।
নেতিবাচক প্রভাব: ভয়, নিপীড়ন, এবং উদাসীনতা।

সবুজ

ইতিবাচক প্রভাব: প্রশান্তি, প্রাকৃতিকতা, এবং সুস্বাস্থ্য।
নেতিবাচক প্রভাব: কোমলতা এবং একঘেয়েমি।

লাল

ইতিবাচক প্রভাব: সাহসিকতা, শক্তি, এবং উত্তেজনা।
নেতিবাচক প্রভাব: আক্রমণাত্মকতা এবং মানসিক চাপ।

নীল

ইতিবাচক প্রভাব: প্রশান্তি, আস্থা, এবং বুদ্ধিদীপ্ততা।
নেতিবাচক প্রভাব: শীতলতা এবং দূরত্ব।

হলুদ

ইতিবাচক প্রভাব: আনন্দ, উজ্জ্বলতা, এবং সৃজনশীলতা।
নেতিবাচক প্রভাব: উদ্বেগ এবং অস্থিরতা।

বেগুনি

ইতিবাচক প্রভাব: বিলাসিতা, সৃজনশীলতা, এবং আধ্যাত্মিকতা।
নেতিবাচক প্রভাব: অহংকার এবং অতিরিক্ততা।

রঙের প্রভাব সম্পর্কে আরও জানতে চাইলে, আপনি এই প্রবন্ধটি পড়তে পারেন1

আপনার প্রিয় রঙ কোনটি এবং কেন?

 


জুমআর নামাজ: ফজিলত, পড়ার নিয়ম ও দোয়া - NB Article

জুমআর নামাজ: ফজিলত, পড়ার নিয়ম ও দোয়া - NB Article

 

জুমআর নামাজ: ফজিলত, পড়ার নিয়ম ও দোয়া


জুমআর নামাজের ফজিলত:

জুমআর নামাজ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, “হে বিশ্বাসীগণ! জুমআর দিনে যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে তাড়াতাড়ি কর এবং বেচাকেনা বন্ধ রাখ।” (সূরা জুমআ, আয়াত ৯)।

হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি জুমআর দিন গোসল করে প্রথম মসজিদে হাজির হয়, সে যেন একটি উট কোরবানি করল; দ্বিতীয় যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে, সে যেন একটি গরু কোরবানি করল…” (বুখারি: ৮৮১)।

জুমআর নামাজ পড়ার নিয়ম:

১. গোসল ও প্রস্তুতি: জুমআর দিন গোসল করা সুন্নত। পরিষ্কার পোশাক পরিধান করা এবং সুগন্ধি ব্যবহার করা উত্তম।

২. মসজিদে যাওয়া: আজানের সাথে সাথে মসজিদে উপস্থিত হওয়া উচিত।

৩. নিয়ত: জুমআর নামাজের নিয়ত করা হয় এইভাবে: “নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতি কাব্‌লাল জুমুয়াতি, সুন্নাতি রাসূলিল্লাহি তয়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল্‌ ক্বাবাতিশ্‌ শারীফাতি আল্লাহু আক্‌বার।”

৪. নামাজের রাকাত: জুমআর নামাজে দুই রাকাত ফরজ রয়েছে। এছাড়া ফরজ নামাজের পূর্বে চার রাকাত কাবলাল জুমা এবং পরে চার রাকাত বাদাল জুমা (সুন্নত নামাজ) আদায় করতে হয়।

জুমআর নামাজের দোয়া:

জুমআর নামাজের পর কিছু বিশেষ দোয়া পড়া হয়। যেমন:

  • দরুদ শরিফ: “আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আ’লি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহিমা ওয়া আলা আ’লি ইব্রাহিমা ইন্নাকা হামিদুম মজিদ।”
  • মাগফিরাতের দোয়া: “রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়া ক্বিনা আ’জাবান নার।”

জুমআর নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে আরও জানতে, প্রথম আলোর এই নিবন্ধটি পড়তে পারেন ।

 

কলা খাওয়ার উপকারিতা - NB Article

কলা খাওয়ার উপকারিতা - NB Article

How many benefit eating banana


কলা খাওয়ার উপকারিতা

কলা একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল যা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এটি শুধু সুস্বাদুই নয়, বরং বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতাও প্রদান করে। আসুন জেনে নিই কলা খাওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা:

১. পুষ্টিগুণে ভরপুর

কলা ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ডায়েটারি ফাইবারে সমৃদ্ধ। এটি আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে

২. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

কলা পটাসিয়ামের একটি চমৎকার উৎস, যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়

৩. হজম শক্তি বৃদ্ধি করে

কলা ডায়েটারি ফাইবারে সমৃদ্ধ, যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি একটি সুস্থ অন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী

৪. শক্তি বৃদ্ধি করে

কলা প্রাকৃতিক শর্করা যেমন সুক্রোজ, ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজে সমৃদ্ধ, যা দ্রুত এবং পর্যাপ্ত শক্তি প্রদান করে। এটি একটি প্রাক-ওয়ার্কআউট স্ন্যাক হিসেবে আদর্শ

৫. মেজাজ ভালো রাখে

কলা খাওয়া মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরে সেরোটোনিন উৎপাদনে সাহায্য করে, যা মেজাজ ভালো রাখতে সহায়ক

৬. ওজন কমাতে সহায়ক

কলা কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত হওয়ায় এটি ওজন কমাতে সহায়ক। এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়

৭. ত্বকের যত্নে

কলা ত্বকের যত্নেও উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে

৮. কিডনি সুস্থ রাখে

কলা খাওয়া কিডনির স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এতে থাকা পটাসিয়াম কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে এবং কিডনি পাথরের ঝুঁকি কমায়

 


শায়েখ আহমাদুল্লাহর জীবনবৃত্তান্ত - NB Article

শায়েখ আহমাদুল্লাহর জীবনবৃত্তান্ত - NB Article

শায়েখ আহমাদুল্লাহ

শায়েখ আহমাদুল্লাহ

 

জন্ম ও পরিবার

শায়েখ আহমাদুল্লাহ ১৯৮১ সালের ১৫ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলার বশিকপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন এবং মাতার নাম মোসাম্মাত দেলোয়ারা বেগম। তিনি ছয় ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয়।

কিশোর জীবন

শায়েখ আহমাদুল্লাহর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় তাঁর পিতা, মাতা ও চাচার কাছ থেকে। তিনি বশিকপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। এরপর তিনি মাইজদীর নিকটবর্তী হরিনারায়ণপুরের দানাপুর কওমি মাদ্রাসায় নূরানির প্রাথমিক তিন জামাত এবং লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ বোয়ালিয়া কওমি মাদ্রাসায় উর্দু ভাষা শিক্ষালাভ করেন

শিক্ষাজীবন

শায়েখ আহমাদুল্লাহ হাতিয়ার ফয়জুল উলুম কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি হন এবং মুফতি সাইফুল ইসলামের সান্নিধ্যে পড়াশোনা করেন। এরপর তিনি চট্টগ্রামের দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসায় ভর্তি হন এবং সেখানে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও দাওরায়ে হাদীস সম্পন্ন করেন। যশোরের দড়াটানা কওমি মাদ্রাসায় সানুবিয়াহ পরীক্ষায় (এইচএসসি সমতুল্য) ১০ম স্থান, মিশকাত ক্লাসে ৩য় স্থান এবং দাওরায়ে (মাস্টার্স) ক্লাসে ২য় স্থান অধিকার করেন। সর্বশেষে খুলনা দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসা থেকে ইফতা সম্পন্ন করেন ।

কর্মজীবন

শিক্ষাজীবন শেষ করে শায়েখ আহমাদুল্লাহ ২০০৩ সালে মিরপুরের দারুর রাশাদ মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। পাশাপাশি তিনি মিরপুরের বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদে ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে তিনি সৌদি আরবে যান এবং পশ্চিম দাম্মাম ইসলামিক দাওয়াহ সেন্টারে প্রীচার ও ট্রান্সলেটর হিসেবে কাজ করেন ।

বর্তমান

শায়েখ আহমাদুল্লাহ দেশে ফিরে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন, যা শিক্ষা, সেবা ও দাওয়াহ কার্যক্রম পরিচালনা করে। তিনি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ভূমিপল্লী জামে মসজিদের খতিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, ওয়াজ মাহফিল এবং উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্মে লেকচার দেন ।

ব্যক্তিগত জীবন

শায়েখ আহমাদুল্লাহর তিন পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি তাঁর পরিবার নিয়ে একটি সুখী জীবনযাপন করছেন ।

 

স্বর্ণের ইতিহাস জানেন কি - NB Article

স্বর্ণের ইতিহাস জানেন কি - NB Article

 


স্বর্ণের ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন এবং সমৃদ্ধ। প্রাচীন সভ্যতাগুলির মধ্যে স্বর্ণের ব্যবহার এবং এর প্রতি আকর্ষণ ছিল অত্যন্ত গভীর। স্বর্ণের প্রথম আবিষ্কারক কে ছিলেন তা সঠিকভাবে জানা যায় না, তবে প্রাচীন মিশরীয়রা স্বর্ণের ব্যবহার শুরু করেছিল বলে ধারণা করা হয়।

স্বর্ণের প্রাচীন ইতিহাস

প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় স্বর্ণের ব্যবহার ছিল অত্যন্ত প্রচলিত। মিশরের ফারাওরা স্বর্ণকে দেবতাদের উপহার হিসেবে বিবেচনা করতেন এবং তাদের সমাধিস্থলে প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণের ব্যবহার করতেন। তুতানখামুনের সমাধি থেকে প্রাপ্ত স্বর্ণের নিদর্শনগুলি এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

স্বর্ণের আবিষ্কার

স্বর্ণের প্রথম আবিষ্কারক কে ছিলেন তা নির্দিষ্টভাবে জানা যায় না। তবে, প্রাচীন মিশরীয়রা খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ সালের দিকে স্বর্ণের ব্যবহার শুরু করেছিল। মিশরের ফারাওরা স্বর্ণকে দেবতাদের উপহার হিসেবে বিবেচনা করতেন এবং তাদের সমাধিস্থলে প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণের ব্যবহার করতেন। তুতানখামুনের সমাধি থেকে প্রাপ্ত স্বর্ণের নিদর্শনগুলি এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

স্বর্ণের ব্যবহার

প্রাচীন মিশরীয়রা স্বর্ণকে প্রধানত অলঙ্কার এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যবহার করত। এছাড়াও, তারা স্বর্ণের মুদ্রা তৈরি করত যা বাণিজ্যে ব্যবহৃত হত। প্রাচীন গ্রিস এবং রোমান সাম্রাজ্যেও স্বর্ণের ব্যবহার ছিল অত্যন্ত প্রচলিত। গ্রিসের আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট এবং রোমের জুলিয়াস সিজার স্বর্ণের মুদ্রা প্রচলন করেছিলেন।

স্বর্ণের গুরুত্ব

স্বর্ণের গুরুত্ব কেবলমাত্র এর সৌন্দর্য এবং মুদ্রা হিসেবে ব্যবহারের জন্য নয়, বরং এটি ছিল শক্তি এবং ক্ষমতার প্রতীক। প্রাচীন সভ্যতাগুলিতে স্বর্ণের মালিকানা ছিল রাজা এবং অভিজাতদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এটি ছিল তাদের ক্ষমতা এবং সম্পদের প্রতীক।

উপসংহার

স্বর্ণের ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন এবং সমৃদ্ধ। প্রাচীন মিশরীয়রা স্বর্ণের ব্যবহার শুরু করেছিল এবং এটি ধীরে ধীরে অন্যান্য সভ্যতাগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। স্বর্ণের গুরুত্ব কেবলমাত্র এর সৌন্দর্য এবং মুদ্রা হিসেবে ব্যবহারের জন্য নয়, বরং এটি ছিল শক্তি এবং ক্ষমতার প্রতীক।

 

রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২

নারী : সালমা জাহান সনিয়া - NB Article

নারী : সালমা জাহান সনিয়া - NB Article

কবিতাঃ নারী, সালমা জাহান সনিয়া, নারী, বাংলা কবিতা, কবিতা,


কবিতাঃ নারী
সালমা জাহান সনিয়া

পিছিয়ে নেই তুমি আজ সবার সম্মুখে!
এক এক করে সামনে এলে তুমি গোটা জগৎ নাড়া দিয়ে।
ছিলে তুমি অন্ধকার কুটিরে।
ঝলকানিতে ভরিয়ে দিয়ে এলে পথ সুদূর করে।
আজ তুমি জগতের একাংশ!
তোমার অবদানে পেলো জগৎ আলোর সন্ধান।

তুমিই সুপ্ত আলো,
তুমিই দীপ্ত প্রভাত,
তুমি আলোর সন্ধানী,
তুমিই এক মুঠো সুখ।
তোমাতেই জড়ো হয় সকল আশা,
তোমাতেই দূর হয় যত সব হতাশা।
তোমাতে ফিরে আসে নতুন প্রাণ,
নারী তোমার হাসি অটুট থাকুক চির অম্লান।
এ ধারার যত গান আজ জুড়ে তোমার গুনগান,
দীপ্ত কণ্ঠে আগমন ঘটে মনে করে তোমার অবদান।

এগিয়ে যাও তুমি লক্ষ্য রেখে স্থির,
তোমার আলোয় আলোকিত হয়ে উঠুক জগতের প্রতিটা নীড়।
হতাশার ছায়া যেনো আড়ালে সরিয়ে না দেয় তোমার আশা,
চূর্ণ করে গড়বে নতুন পথ মনে আনবে না কোনো হতাশা।

তোমার কণ্ঠ দীপ্ত হোক
জগৎ জুড়ে জয়গান হোক হে নারী তোমার,
পৃথিবীর একাংশ হয়ে
আলো ফুটিয়ে তোলো মনের মাঝে সবার।

তুমিই প্রথম যার স্থান হলো স্বয়ং বিধাতার দরবারে,
তুমিই প্রথম যার আগমন ঘটেছিল জনতার মনে,
নারী তুমি সুপ্ত এক টুকরো লাভা!
আলোকিত হোক গোটা জগৎ তোমার আলোর পরশে।

 

 


শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১

শিম চাষ করে লাভবান হোন -NB Article

শিম চাষ করে লাভবান হোন -NB Article

 


শিম চাষ বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষি কার্যক্রম। শিমের বিভিন্ন জাত এবং চাষের নিয়মাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জানলে আপনি সফলভাবে শিম চাষ করতে পারবেন। নিচে শিম চাষের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

শিমের বিভিন্ন জাত

বাংলাদেশে শিমের বিভিন্ন জাত রয়েছে, যেমন:

  • বারি শিম-১: মাঝারি আগাম জাত, আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাসে বীজ বপন করতে হয়। হেক্টর প্রতি ফলন ২০-২২ টন।
  • বারি শিম-২: আগাম জাত, আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাসে বীজ বপন করতে হয়। হেক্টর প্রতি ফলন ১০-১২ টন।
  • বিইউ শিম-৩: সারা বছর চাষ করা যায়, গ্রীষ্ম মৌসুমেও চাষের উপযোগী। হেক্টর প্রতি ফলন ৭-৮ টন।
  • ইপসা শিম-১: সারা বছর চাষ করা যায়, গ্রীষ্ম মৌসুমেও চাষের উপযোগী। হেক্টর প্রতি ফলন ৫-১০ টন।
  • ইপসা শিম-২: সারা বছর চাষ করা যায়, গ্রীষ্ম মৌসুমেও চাষের উপযোগী। হেক্টর প্রতি ফলন ৭-৮ টন

শিম চাষের নিয়মাবলী

1.    মাটি ও জমি প্রস্তুতি:

o    শিম চাষের জন্য দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি সবচেয়ে উপযোগী।

o    জমি ভালোভাবে চাষ ও মই দিয়ে প্রস্তুত করতে হবে।

o    মাদার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও গভীরতা ৪৫ সেন্টিমিটার রাখতে হবে।

2.    বীজ বপন:

o    আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাস বীজ বপনের উপযুক্ত সময়।

o    প্রতি মাদায় ৪-৫ টি বীজ বুনতে হয়।

o    বীজ বপনের আগে ১০-১২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে নিতে হবে।

3.    সার ব্যবস্থাপনা:

o    প্রতি মাদার জন্য ১০ কেজি গোবর, ২০০ গ্রাম খৈল, ২ কেজি ছাই, ১০০ গ্রাম টিএসপি, ৫০ গ্রাম এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে।

o    চারা গজানোর ১৪ থেকে ২১ দিন পর পর ৫০ গ্রাম করে ইউরিয়া ও এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে।

4.    পরিচর্যা:

o    গাছের গোড়ায় পানি জমতে দেওয়া যাবে না।

o    শুষ্ক মৌসুমে প্রয়োজন মত সেচ দিতে হবে।

o    মাঝে মাঝে মাটি নিড়ানি দিয়ে আলগা করে দিতে হবে।

o    গাছ যখন ১৫-২০ সেন্টিমিটার লম্বা হবে তখন মাদার গাছের গোড়ার পাশে বাঁশের ডগা মাটিতে পুঁতে বাউনির ব্যবস্থা করতে হবে।

সফল শিম চাষের টিপস

  • উপযুক্ত জাত নির্বাচন: আপনার এলাকার জলবায়ু ও মাটির ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত জাত নির্বাচন করুন।
  • সঠিক সময়ে বীজ বপন: নির্দিষ্ট সময়ে বীজ বপন করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
  • পর্যাপ্ত সার ও পানি: সঠিক পরিমাণে সার ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করুন।
  • পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন: নিয়মিত পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

শিম চাষের মাধ্যমে আপনি সফল হতে পারেন যদি আপনি সঠিক নিয়ম মেনে চলেন এবং নিয়মিত পরিচর্যা করেন। আশা করি এই প্রতিবেদনটি আপনার শিম চাষে সহায়ক হবে।

আপনার যদি আরও কোনো প্রশ্ন থাকে বা বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে জানাতে পারেন!

 







শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২০

যোহরের নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম - NB Article

যোহরের নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম - NB Article

 


যোহরের নামাজ মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। এটি প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে দ্বিতীয়। যোহরের নামাজের বিস্তারিত নিয়মাবলী নিচে দেওয়া হলো:

যোহরের নামাজের রাকাত

যোহরের নামাজ মোট ১২ রাকাত নিয়ে গঠিত:

1.    চার রাকাত সুন্নত (সুন্নতে মুয়াক্কাদা)

2.    চার রাকাত ফরজ

3.    দুই রাকাত সুন্নত (সুন্নতে মুয়াক্কাদা)

4.    দুই রাকাত নফল (ঐচ্ছিক)

যোহরের নামাজের নিয়ম

1.    চার রাকাত সুন্নত:

o    নিয়ত: “নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা আরবাআ রাকয়াতি সালাতিজ জোহরি সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তা’য়ালা মুতাওয়াজ জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।”

o    প্রথম রাকাতে সানা, সূরা ফাতিহা এবং অন্য একটি সূরা পড়তে হয়।

o    রুকু, সিজদা, এবং তাশাহুদ পড়তে হয়।

o    দ্বিতীয় রাকাতে একইভাবে আদায় করতে হয় এবং তাশাহুদ পড়তে হয়।

o    তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাত একইভাবে আদায় করতে হয় এবং শেষে তাশাহুদ, দরুদ শরীফ এবং দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরাতে হয়।

2.    চার রাকাত ফরজ:

o    নিয়ত: “নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা আরবাআ রাকয়াতি সালাতিজ জোহরি ফারজুল্লাহি তা’য়ালা মুতাওয়াজ জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।”

o    প্রথম দুই রাকাতে সূরা ফাতিহা এবং অন্য একটি সূরা পড়তে হয়।

o    তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে শুধুমাত্র সূরা ফাতিহা পড়তে হয়।

o    প্রতিটি রাকাতে রুকু, সিজদা, এবং তাশাহুদ পড়তে হয়।

o    চতুর্থ রাকাতে তাশাহুদ, দরুদ শরীফ এবং দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরাতে হয়।

3.    দুই রাকাত সুন্নত:

o    নিয়ত: “নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা রাকয়াতাই সালাতিজ জোহরি সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তা’য়ালা মুতাওয়াজ জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।”

o    প্রথম রাকাতে সানা, সূরা ফাতিহা এবং অন্য একটি সূরা পড়তে হয়।

o    রুকু, সিজদা, এবং তাশাহুদ পড়তে হয়।

o    দ্বিতীয় রাকাতে একইভাবে আদায় করতে হয় এবং শেষে তাশাহুদ, দরুদ শরীফ এবং দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরাতে হয়।

4.    দুই রাকাত নফল (ঐচ্ছিক):

o    নিয়ত: “নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা রাকয়াতাই সালাতিজ জোহরি নফলু লিল্লাহি তা’য়ালা মুতাওয়াজ জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।”

o    প্রথম রাকাতে সানা, সূরা ফাতিহা এবং অন্য একটি সূরা পড়তে হয়।

o    রুকু, সিজদা, এবং তাশাহুদ পড়তে হয়।

o    দ্বিতীয় রাকাতে একইভাবে আদায় করতে হয় এবং শেষে তাশাহুদ, দরুদ শরীফ এবং দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরাতে হয়।

যোহরের নামাজের সময়

যোহরের নামাজের সময় শুরু হয় যখন সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ে এবং শেষ হয় যখন কোনো বস্তুর ছায়া তার আসল ছায়ার দ্বিগুণ হয়